বড় ভাইদের বিদায় উপলক্ষে সেরা ভাষন দেখে নিন

কেমন আছেন সবাই ? অনেক বন্ধুরা রিকুয়েস্ট করেছেন যে বিদায়ী বড় ভাইদের উদ্দেশ্যে আমরা ছোট ভাইরা যেনকিছু বলতে পারি,সে বিষয়ে কিছু লিখুন। তো আজকের পোষ্ট তাদের জন্যই। তো বন্ধুরা আজকের এই বক্তব্যটি আপনি আপনার যেকোনো বড় ভাই, সে আপনার স্কুল কোচিং প্রাইভেট, কলেজ, ইউনিভার্সিটি যেখান থেকেই বিদায় নিক না কেন, আপনি তাদের উদ্দেশ্যে এ বক্তব্যটি মঞ্চে উঠে দিতে পারবেন। অসাধারণ একটি বক্তব্য । যদি আপনি এই বক্তব্যটি সঠিক ভাবে দিতে পারেন,তাহলে যাদের উদ্দেশ্যে বলবেন,তাদের সবার চোখে জল এসে যাবে, এবং আপনাকে তারা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। সত্যি বলছি খুব সুন্দর একটি বক্তব্য। – দরজায় নেড়েছে কড়া, মনে চলেছে মহড়া , দিতে হবে সম্ভাষণ। অশ্রু নয়নে, ভেঙে যাওয়া মনে জানাই বিদায়ী অভিনন্দন।।। স্কুল কর্তৃক আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সভাপতি,শিক্ষক, অভিভাবক। মঞ্চের সামনে উপস্থিত বড় ভাই বোন,স্নেহের ছোট ভাই-বোন বন্ধুরা সকলকে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা,অভিনন্দন ও সালাম, আসসালামু আলাইকুম । – সম্মানিত উপস্থিতি: দোলনায় দোল খেতে খেতে,সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের। শৈশবের কোন কিছুই আমরা বলতে পারি না। আর যাও বলে থাকি,তা বড়দের থেকে শোনা গল্প। আস্তে আস্তে মনের ভেতর নানা প্রশ্নের উত্তর জানার গাছটা বেড়ে ওঠে। এই বেড়ে ওঠার তাগিদ থেকেই জন্ম হয় শিক্ষা অর্জন করার চাহিদা। সভ্যতার পৃথিবীতে এই শিক্ষা অর্জনের জন্য শুরু হয় স্কুল কলেজে যাওয়া। যদিও এই পৃথিবীতে একটা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পিতা-মাতা ও পরিবার। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পিতামাতা অবসর গ্রহণ করে উপদেষ্টাই উপনীত হয়। তখন শিক্ষাদানের দায়ভার বর্তায় স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ওপর। – সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী: পরিবার থেকে অক্ষর জ্ঞ্যান অর্জন করে এসে পরিচয় হয় আপনাদের সাথে। সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে একত্রিত হয় যখন, তখন আমরা তেমন কিছুই বুঝিনা। আপনাদের উদার মনের কোঠায় কি সযতনেই না ঠাঁয় দেন আমাদের। মনে হয় না আমরা আমাদে পরিবার থেকে পৃথক হয়েছি। বাড়ন্ত চারা গাছটা আপনারা কত না যতনে বৃহৎ বৃক্ষে গড়ে তোলেন । – আদর্শ বিদ্যাপীঠ: স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা অর্জন করার সুযোগ দানে আমরা পুলকিত। আপনাদের সোহার্দ্য পূর্ণ আচরন আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে সবসময়। শেখানোর আপ্রাণ চেষ্টা আমাদেরকে করেছে অনুপ্রাণিত। – প্রিয় শিক্ষার্থী: রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও কিছু সম্পর্ক যে মধুর হয়ে ওঠে, বন্ধুত্ব হচ্ছে তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। বন্ধু শব্দটার সাথে পরিচিত হই আমরা এই শিক্ষাঙ্গনের এসে। আমার মনে হয় বন্ধু শব্দটার মাঝেই পৃথিবীর সবথেকে কম স্বার্থ থাকে। – প্রিয় বিদায়ী: অনেক কথা বলার ছলে, আসল কথা হয়নি বলা। আজ থেকে যে হবে না আর, আপনাদের সাথে পথচলা। কিশোর বয়স থেকে শুরু করে দীর্ঘ কয়েক বছর আপনাদের সাথে কাটিয়েছি, কেটে গেছে অনেক দিন। বুঝিনি কখনো ছেড়ে যাবেন আমাদের। আজ সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে জীবনের গতিপথ, নতুন পথের যাত্রী আপনারা। স্মৃতির পাতায় চোখ পড়ছে বারবার, ধুলা বালির নিচে পড়া কত না ঘটনা আজ চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে। পুরাতন খতিয়ান কে যেন খুলে মেলে ধরেছে চোখের সামনে। পুরাতন সেই খতিয়ানের প্রথম পাতায় চোখ পড়তেই মনে পড়লো আপনাদের। সেই সব সম্মানিত বড় ভাই বোনদের যাদের হাত ধরে আমাদের বেড়ে ওঠা। অসংখ্য ভালোবাসায় আগলে রেখেছিলেন আপনারা। আপনাদের মত মানুষদের সাথে মিশতে পাড়াও একটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমাদের মত কম বোঝা মানুষদেরকে আপন করে টেনে নিয়েছিলেন বুকে, দেখিয়ে দিয়েছেন আধার থেকে আলোর পথে আসার গিরিপথ। আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো দেখা হতো না সভ্যতার এই পৃথিবী। চলার পথে আমরা না বুঝে অবুঝের মত অনেক সময় বাগবক্তৃতাই জড়িয়ে পড়েছি হয়ত। আমরা না বোঝা মানুষ গুলো আজ আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। চাহিয়া ক্ষমা বারিয়ে দিলাম, আমাদের দুটি হাত। মুখে আজ আর নেই কথা , নয়ন শুধুই অশ্রুপাত । যেতে যখন হবেই বাঁধা দেয়ার কিছু নেই তখন। যেখানেই থাকবেন ভালো থাকবেন, শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করবেন। আমাদের নিকটে পথপ্রদর্শক হিসেবে আলোকবর্তিকার ন্যায় মশাল জ্বালিয়ে রাখবেন । সর্বোপরি দেশ ও দশের ব্যাক্তি পরিবারের সেবাই আত্মনিয়োগ করবেন। সকলের সু-সাফল্য,মঙ্গল,ও দীর্ঘায়ু কামনা করি,সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সালাম, আসলামুআলাইকুম। – যদি আপনার এটা বড় মনে হয়, তাহলে আপনি আপনার খাতায় ছোট করে লিখে নিয়েন। তবে আমার মনে হয় কোনো কিছু বাদ না দেওয়া বেটার হবে। আর শুরুতে কবিতার চারটা লাইন যেটা দেওয়া হয়েছে ওটা বলার পর আপনি কিন্তু আপনার স্কুল কলেজ বা যেখান থেকে আপনি বক্তব্যটা দিচ্ছেন ওখানকার নাম উল্লেখ করবেন। যে অমুক কোচিং কর্তৃক সআয়োজিত এভাবে আর কি ঠিক আছে? [ বি:দ্র: আমি পোষ্ট এ বেশি বিবি কোড ব্যবহার করিনা।] আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। হয়তো তাদের দরকার হতে পারে